দৈনিক জনপদ ডেস্ক ::: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারের সিলামে সাংবাদিকের বাসায় হামলা, ভাংচুর, মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯টা ১৫ মিনিটে মোগলাবাজার থানার সিলাম ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ও দৈনিক জাগ্রত সিলেট -এর সম্পাদক শেখ মোর্শেদের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলা ও ভাংচুরের আলামত সংগ্রহ করেছে। অভিযোগ ওঠেছে, এই হামলা, মারধর ও লুটপাটে ইন্ধন ও নেতৃত্ব দিয়েছেন আশপাশের কিছু দুর্বৃত্তরা। হামলার ঘটনায় সাংবাদিক শেখ মোর্শেদের স্ত্রী আয়শা বেগম বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে মোগলাবাজার থানায় বৃহস্পতিবার একটি এজাহার দাখিল করেছেন।
জানা গেছে, গত ২২ নভেম্বর প্রাণনাশের শঙ্কায় মোগলাবাজার থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়রি করেন দৈনিক জাগ্রত সিলেট-এর সম্পাদক শেখ মোর্শেদ। পাওনা টাকা ফেরত চাওয়া ও সাধারণ ডায়রি এবং বিরাহিমপুর গ্রামের মুরুবিয়ানদের বিষয়টি অবগত করার জেরে মঙ্গলবার রাতে দলবদ্ধ হয়ে হামলাকারীরা হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে বলে জানান শেখ মোর্শেদ।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, হামলাকারীরা বসতঘরে ঢুকে শেখ মোর্শেদের খোঁজ জানতে চেয়ে তাঁর স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করলে শেখ মোর্শেদের বড় ছেলে শেখ ফারদিন মোর্শেদ বাপ্পী ও কন্যা সন্তান শেখ সুমাইয়া মোর্শেদ তিশা বাঁধা দিতে গেলে তাদেরও মারধর করে হামলাকারীরা।
এ সময় বসতঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর, স্বর্ণালংকার ও নগদ এক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে সিলেট নগরীর তালতলা থেকে এসে শেখ মোর্শেদ জাতীয় জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিলে এএসআই আলমগীর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বসতঘরের ভাঙচুরের ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করেন।
এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শামসুল হাবিব বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত আছি। থানায় এজাহার দিলেও আমি এখনো তা পাইনি। আমি এখন থানায় নেই, থানায় গিয়ে দেখবো।