প্রকাশনার ১০ বছর

২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বন্যায় মৌলভীবাজারে তিন উপজেলায় চরম দুর্ভোগ

দৈনিক জনপদ
প্রকাশিত ০৫ জুলাই, শুক্রবার, ২০২৪ ০২:০২:৫৮
বন্যায় মৌলভীবাজারে তিন উপজেলায় চরম দুর্ভোগ

মৌলভীবাজার জেলার সাত উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও হাওর এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।

হাকালুকি হাওর তীরের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষ এখনও চরম দুর্দশায় দিন পার করছে।

কুলাউড়া উপজেলার প্রায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও পানি ঢুকেছে।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ঊর্মি বিনতে সালাম বলেন, “বুধবার সকাল থেকে পানি ধীর গতিতে নামছে। হাওর তীরের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার বেশ কিছু মানুষ পানিবন্দি আছে।

“তবে বন্যা কবলিতদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে। ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম কাজ করছে। পানি নামার পর ক্ষয়ক্ষতি হিসাব করা হবে।”

এদিকে গত দুই দিনের বৃষ্টিতে মৌলভীবাজারের মনু ও কুশিয়ারা নদীর পানি আবারও বিপদ সীমার ওপরে উঠে এসেছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, “মনু নদীর পানি চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

“বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে জুড়ি নদীর পানি। তবে ধলই নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।”

কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র শিপার উদ্দিন আহমদ বলেন, কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশ মুখে রাস্তায় দুই-তিন ফুট পানি উঠে আছে। হাকালুকি হাওরের পানি কুশিয়ারা নদী হয়ে নামে।

“কুশিয়ারার পানি নতুন করে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুলাউড়া জুড়ি ও বড়লেখার নিম্নাঞ্চলে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।”

এদিকে উজানের ঢলে আবারও শ্রীমঙ্গল উপজেলার সবুজবাগ, লালবাগ, রুপসপুর, সুরভীপাড়া, আশিদ্রোনসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ি ছড়ার পাড় ডুবে রাস্তাঘাটে পানি উঠেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এইসব এলাকার মানুষ।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তালেব বলেন, “এখানে ফ্লাস ফ্লাড হয়। হঠাৎ করে পানি এসে বেশ কিছু এলাকা ডুবিয়ে দেয় আবার ৩-৪ ঘণ্টা পর চলে যায়।”