সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার এক কৃতি সন্তান ড. গোলফাম আহমদ সাজু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক বিশেষ সফলতা অর্জন করে নিজ জন্মভূমিকে গৌরবান্বিত করেছেন। ৯নং ডৌবাড়ী ইউনিয়নের ডৌবাড়ী গ্রামের এই কৃতী ছাত্র যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ ম্যাসাচুসেটস ডার্টমাউথ থেকে তাঁর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম-এর উপর পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।
প্রফেসর ডঃ ইউচু চ্যাং-এর তত্ত্বাবধানে তাঁর যুগান্তকারী গবেষণার মূল বিষয়বস্তু ছিল “এমআরআই স্ক্যানারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে দ্রুত রোগ শনাক্ত করা”। এই অভূতপূর্ব গবেষণার ভিত্তিতে তাঁর মোট ২৩টি রিসার্চ পেপার প্রকাশিত হয়, যা যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান গবেষণাগার কর্তৃক প্রকাশিত বিখ্যাত কয়েকটি ম্যাগাজিনে স্থান লাভ করে। তাঁর এই অসামান্য কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনিভার্সিটি অফ ম্যাসাচুসেটস তাঁকে ২০২৪ সালে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, তিনি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী প্রথম বাঙালি ছাত্র।
শিক্ষাজীবনে তিনি জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে সুনামের সাথে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেন এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টে স্নাতক সম্মান ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মেধা বৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন।
ড. সাজু গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী গ্রামের বিশিষ্ট শালিশ ব্যক্তিত্ব মরহুম জনাব হাবিবুর রহমান সাহেবের নাতি এবং একই উপজেলার ৬নং ফতেপুর ইউনিয়নের গোসাইনপুর নিবাসী মরহুম জনাব ফখর উদ্দিন সাহেবের দোহিত্র। তিনি জালালাবাদ গ্যাসে কর্মরত ব্যবস্হাপক জনাব মোহাম্মদ আলী খোকন সাহেবের জ্যেষ্ঠ পুত্র। ব্যক্তিগত জীবনে এক সন্তানের জনক ড. গোলফাম আহমদ সাজু ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত “ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি” তে ‘পোস্টডক্টরাল গবেষক’ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এবং তিনি আগামী পহেলা জানুয়ারী ২০২৬ তারিখে সেখানে যোগদান করবেন। ড. সাজু তাঁর এই নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ পথচলায় নিজ মাতৃভূমির সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী।
